মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২২ অপরাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধি॥ ভোলার বোরহানউদ্দিনে ৩ সন্তানের জননী ফাহিমা বেগমকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যদেও বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী’র ছোট ভাই নুরে আলমকে আটক করেছে থানা পুলিশ। সোমবার রাতে যে কোন সময় সাচড়া ৫ নাম্বার ওয়ার্ডে রামকেশব গ্রামে খুনি বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় বোরহানউদ্দিন থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য ভোলা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দিবাগত রাতের যে কোন সময় ফাহিমা বেগম কে হত্যা করে তার স্বামী ও তার পরিবার পানিতে ফেলে দেয়। তারা পানিতে পড়ে মৃত্যু হয়েছে বলে ঘটনা রটানোর চেষ্টা করে। কিন্তু নিহত ফাহিমা বেগমের মুখের বাম পাশে ও গলায় আঘাতের চিহ্ন থাকায় সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এর পর স্বামী নজরুল উধাও হয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। এসময় নজরুলের ছোট ভাই নুরে আলমকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে নিয়ে আসে। সে বোরহানউদ্দিন থানা- পুলিশের হেফাজতে আছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার নিহতের বাবা আ. মন্নান বিশ্বাস বাদী হয়ে মেয়ের জামাই ও তার পরিবারের সদস্যদের আসামী করে বোরহানউদ্দিন থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহত ফাহিমা বেগমের বাবা অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ের ঘরে ১ টি ছেলে ও ২ টি মেয়ে সন্তান রয়েছে। আমার জামাই মো. নজরুল ইসলাম বিভিন্ন সময় আমার মেয়েকে মারধর করতো। কিন্তু সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে আমার মেয়ে সকল কষ্ট মেনে নেয়। গত সোমবার (১৩ এপ্রিল) রাতে যে কোন সময় আমার মেয়েকে জামাই সহ তার পরিবার পিটিয়ে হত্যা করেছে। ফযরের আযানের পূর্বে আমার ছেলে আকতার কে জামাই নজরুল ফোন করে বলে তোর বোন পানিতে ডুবে মারা গেছে। এ খরব শুনে গিয়ে দেখি আমার মেয়ের মুখের বাম পাশে ও গলায় বিভিন্ন আঘাতের চিহৃ। ওরা আমার মেয়ে কে পিটিয়ে হত্যা করে পানিতে ফেলে দেয়। আমি আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই। দোষীদের ফাঁসি চাই।
এ ব্যাপারে বোরহানউদ্দিন থানার অফিসার ইন-চার্জ ম. এনামুল হক জানান, এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী নজরুলের ছোট ভাইকে আটক করা হয়েছে। লাশটি ময়না তদন্তের জন্য ভোলা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
Leave a Reply